Wednesday, 21 July 2021

ক্রিকেট বিশ্বের ইতিহাস

 প্রারম্ভিক ক্রিকেট (১৭৯৯ পূর্ব):

বিশেষজ্ঞ মতামত রয়েছে যে সাকসন বা নরম্যান সময়ে ক্রিকেট উদ্ভাবিত হতে পারে ওয়েল্ডে বসবাসকারী শিশুদের দ্বারা, দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডের ঘন কাঠের অঞ্চল এবং ক্লিয়ারিংয়ের অঞ্চল। প্রাপ্তবয়স্কদের খেলা হিসাবে ক্রিকেট খেলার প্রথম উল্লেখটি ছিল ১৬১১ সালে এবং একই বছরে একটি অভিধান ক্রিকেটকে ছেলেদের খেলা হিসাবে সংজ্ঞায়িত করেছিল। এমন একটি ধারণাও রয়েছে যে, কোনও ব্যাটসম্যানের হস্তক্ষেপের মধ্য দিয়ে ক্রিকেটটি বাটি থেকে উদ্ভূত হতে পারে, এটি আঘাত করে বলকে তার লক্ষ্যে পৌঁছানো থেকে বিরত করার চেষ্টা করে।


গ্রাম ক্রিকেটটি ১৭ তম শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে বিকশিত হয়েছিল এবং প্রথম ইংরেজি "কাউন্টি দল" তৈরি হয়েছিল শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে, কারণ গ্রাম ক্রিকেটের "স্থানীয় বিশেষজ্ঞরা" প্রথম দিকের পেশাদার হিসাবে নিযুক্ত ছিলেন। দলগুলি কাউন্টি নাম ব্যবহার করে এমন প্রথম জানা গেমটি  ১৭০৯ সালে।

১৮ শতকের প্রথমার্ধে ক্রিকেট নিজেকে লন্ডনে এবং ইংল্যান্ডের দক্ষিণ-পূর্ব কাউন্টিগুলির একটি শীর্ষস্থানীয় খেলা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছিল। ভ্রমণের সীমাবদ্ধতার দ্বারা এর বিস্তারটি সীমাবদ্ধ ছিল, তবে ইংল্যান্ডের অন্যান্য অংশে এটি ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা লাভ করে এবং মহিলাদের ক্রিকেট ১৭৪৫ -এর পূর্বের, যখন সেরে প্রথম পরিচিত ম্যাচটি খেলা হয়েছিল।

১৭৪৪ সালে, ক্রিকেটের প্রথম আইনগুলি রচনা করা হয়েছিল এবং পরে ১৭৭৪ সালে সংশোধন করা হয়, যখন এলবিডাব্লু, একটি তৃতীয় স্টাম্প - মধ্যম স্টাম্প এবং সর্বাধিক ব্যাটের প্রস্থের মতো নতুনত্ব যুক্ত হয়। কোডগুলি "স্টার এবং গার্টার ক্লাব" দ্বারা তৈরি করা হয়েছিল যার সদস্যরা চূড়ান্তভাবে লর্ডসে বিখ্যাত মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ১৮৮৭ সালে। এমসিসি তত্ক্ষণাত আইনগুলির রক্ষাকারী হয়েছিলেন এবং তখন থেকে আজ অবধি সংশোধন করেছেন।

১৭৬০এর পরে বোলাররা যখন বল খেলতে শুরু করেছিল তখন মাটির সাথে বলটি রোলিংকে ছাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং সেই উদ্ভাবনের জবাবে সোজা ব্যাটটি পুরানো "হকি-স্টিক" ব্যাটের স্টাইলটি প্রতিস্থাপন করেছিল। হ্যাম্পশায়ারের হ্যাম্পলডন ক্লাবটি এমসিসি গঠন এবং লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ড ১৮৮৭  খোলার আগ পর্যন্ত প্রায় তিরিশ বছর এই খেলার কেন্দ্রবিন্দু ছিল।

ইংরাজী উপনিবেশগুলির মাধ্যমে ১৭ম শতাব্দীর প্রথমদিকে ক্রিকেট উত্তর আমেরিকায় প্রবর্তিত হয়েছিল এবং ১৮ তম শতাব্দীতে এটি বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে এসেছিল। এটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে উপনিবেশকদের দ্বারা এবং ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নাবিকরা ভারতের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। ১৭৮৮ সালে পনিবেশিকরণ শুরু হওয়ার সাথে সাথে এটি অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছেছিল এবং ১৯ শতকের গোড়ার দিকে ক্রীড়াটি নিউজিল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকাতে পৌঁছেছিল।

 

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু :

প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলাটি 1844 সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার মধ্যে ছিল The ম্যাচটি নিউইয়র্কের সেন্ট জর্জ ক্রিকেট ক্লাবের মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ১৮৫৯ সালে, শীর্ষস্থানীয় ইংরেজী পেশাদারদের একটি দল প্রথমবারের মতো বিদেশের সফরে উত্তর আমেরিকাতে যাত্রা করেছিল এবং ১৮৬২ সালে প্রথম ইংলিশ দল অস্ট্রেলিয়া সফর করেছিল। ১৮৬৮ সালের মে এবং অক্টোবরের মধ্যে, আদিবাসী অস্ট্রেলিয়ানদের একটি দল বিদেশে ভ্রমণকারী প্রথম অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট দলটি ইংল্যান্ড সফর করেছিল।

 

প্রথম অস্ট্রেলিয়ান সফরকারী দল (১৮৭৮) নায়াগ্রা জলপ্রপাতে চিত্রিত হয়েছে ১৮৭৭ সালে, অস্ট্রেলিয়ায় একটি ইংল্যান্ড সফরকারী দল পুরো অস্ট্রেলিয়ান একাদশের বিরুদ্ধে দুটি ম্যাচ খেলেছিল যা এখন উদ্বোধনী টেস্ট ম্যাচ হিসাবে বিবেচিত। পরের বছর, অস্ট্রেলিয়ানরা প্রথমবার ইংল্যান্ড সফর করেছিল এবং এই সফরের সাফল্য ভবিষ্যতে একই ধরণের উদ্যোগের একটি জনপ্রিয় চাহিদা নিশ্চিত করেছে। ১৮৭৮ সালে কোনও টেস্ট খেলা হয়নি তবে এরপরেই তাড়াতাড়ি হয়ে যায় এবং ১৮৮২ সালে ওভালে টানটান উত্তেজনে অস্ট্রেলিয়ার জয় দ্য অ্যাশেজকে জন্ম দেয়।

১৮৮৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা তৃতীয় টেস্ট দেশ হয়ে ওঠে।

জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ :

১৮৯০ সালে ইংল্যান্ডে অফিশিয়াল কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ গঠিত হওয়ার সময় ঘরোয়া ক্রিকেটে একটি উল্লেখযোগ্য বিকাশ ঘটেছিল। এরপরেই, ১৮৯৪ সালের মে মাসে, ক্রীড়াটির প্রথম শ্রেণির মানটি সরকারীভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছিল। 

এই সাংগঠনিক উদ্যোগটি অন্যান্য দেশে পুনরাবৃত্তি হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া ১৮৯২-৯৩ সালে শেফিল্ড শিল্ড প্রতিষ্ঠা করেছিল। প্রতিষ্ঠিত হওয়া অন্যান্য জাতীয় প্রতিযোগিতা ' দক্ষিণ আফ্রিকার কারি কাপ, নিউজিল্যান্ডের প্লানকেট শিল্ড এবং ভারতের রঞ্জি ট্রফি। [উদ্ধৃতি প্রয়োজন] আইসিসি ১৯৪৭ সালে প্রথম শ্রেণির মর্যাদাকে বিশ্বব্যাপী ধারণা হিসাবে পুনরায় সংজ্ঞায়িত করে।

 

১৮৯০ সাল থেকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সূত্রপাত পর্যন্ত সময়কালের স্মৃতি বিজড়িত হয়ে ওঠে, সম্ভবত দলগুলি "গেমের স্পিরিট" অনুসারে ক্রিকেট খেলেছিল, তবে আরও বাস্তবতার কারণ এটি ছিল শান্তির সময় যা প্রথম বিশ্বকে ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছে যুদ্ধ। এই যুগটিকে ক্রিকেটের স্বর্ণযুগ বলা হয় এবং এতে গ্রেস, উইলফ্রেড রোডস, সি বি। ফ্রাই, রঞ্জিতসিংজি এবং ভিক্টর ট্রাম্পারের মতো অসংখ্য দুর্দান্ত নাম ছিল।

প্রতি ওভার বল:

ওভার প্রতি চার বলে ক্রিকেট শুরু হয়েছিল। ১৮৮৯ সালে ওভারের চারটি বল প্রতি ওভারের পাঁচটি করে প্রতিস্থাপিত হয় এবং পরে এটি ১৯০০ সালে ওভার প্রতি ছয়টি বলের পরিবর্তিত হয়। পরবর্তীতে কয়েকটি দেশ ওভারের জন্য আটটি বল নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে। ১৯২২ সালে, প্রতি ওভারে বলের সংখ্যাটি কেবলমাত্র অস্ট্রেলিয়ার ছয় থেকে আটটিতে পরিবর্তন করা হয়েছিল। ১৯২৪ সালে ওভারের আটটি বল নিউজিল্যান্ড এবং ১৯3737 সালে দক্ষিণ আফ্রিকা পর্যন্ত প্রসারিত হয়েছিল। 

ইংল্যান্ডে, প্রতি ওভারের আটটি বল ১৯৯৯ মৌসুমে পরীক্ষামূলকভাবে গৃহীত হয়েছিল; 1940 সালে পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্য ছিল, তবে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য স্থগিত করা হয়েছিল এবং যখন এটি আবার শুরু হয়েছিল, ইংলিশ ক্রিকেটটি ছয় বলে ওভারে ফিরে যায়। ১৯৪ 1947 সালের ক্রিকেটের আইনগুলি খেলার অবস্থার উপর নির্ভর করে ছয় বা আটটি বলের অনুমতি দেয়। অস্ট্রেলিয়ান এবং নিউজিল্যান্ডের ১৯৯ 1979/৮০ মৌসুমের পর থেকে, প্রতি ওভারে ছয়টি বল বিশ্বব্যাপী ব্যবহৃত হয়েছে এবং ২০০০ সালে লসের সর্বশেষতম সংস্করণটি কেবল ছয়টি বল ওভারের অনুমতি দেয়।

 

Monday, 12 July 2021

ঢাকায় কেজি দরে বিক্রি হবে বিমান ...

 কি হেডলাইন শুনে চমকে গেলেন! হ্যাঁ ঠিকই দেখছেন চাইলে আপনিও কেজি দরে কিনতে পারবেন প্লেন । বাংলাদেশে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা ১২টি প্লেন শীঘ্রই নিলামে তোলা হবে খুব শীগ্রই। আর এই বিমানগুলো দেশের বন্ধ হয়ে যাওয়া কয়েকটি বেসরকারি সংস্থার উড়োজাহাজ।


ওই সব বেসরকারি সংস্থার কর্তৃপক্ষের কাছে দীর্ঘদিন যাবত বিমানবন্দরের পার্কিং ফি সহ নানারকম বকেয়া রয়েছে । এই প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্তৃপক্ষ বলছে, শীঘ্রই এই নিলাম অনুষ্ঠিত হবে পড়ে থাকা বিমানগুলোর। তবে সেখানে সেই নিলামে যদি কাঙ্ক্ষিত দাম পাওয়া না যায় তাহলে কেজি দরে বিক্রি করে দেওয় হবে প্লেন গুলো। 

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক এর সাথে কথা বলে জানা যায়, এই মুহূর্তে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বারোটি উড়োজাহাজ পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে। বারোটি বিমানের মধ্যে আটটি বিমান প্রায় দীর্ঘ 10 বছরেরও বেশি সময় ধরে বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ জায়গা দখল করে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। তিনি আরও বলেছেন, "এই বিমানগুলোর রেজিস্ট্রেশন আগেই বাতিল করেছে বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। 

চুক্তিভিত্তিক বিয়ের নামে লিভ-ইন সম্পর্কে জড়াচ্ছে সৌদিরা . . .

বিমানবন্দর থেকে তাদের উড়োজাহাজ সরিয়ে নেয়ার জন্য তাদেরকে নোটিশও দেয়া হয়েছে একাধিকবার। কিন্তু তারা নিজেদের বিমান সরায়নি বা জবাবও দেয়নি। শুধু তাই নয় তাদের কাছে পাওনা অর্থও তারা পরিশোধ করেনি বারবার তাগাদা দেয়া সত্ত্বেও আর যে কারণে এখন বাধ্য হয়েই ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে আমাদের। এখন সিভিল এভিয়েশন আইন অনুযায়ী পরিত্যক্ত বিমানগুলো বাজেয়াপ্ত করে, দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিলাম আয়োজন করা হবে।

কেবল বকেয়া আদায় নয়, এই মুহূর্তে বিমান বন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণের কাজ চলছে খুব দ্রুত গতিতে। তার জন্যেও কার্গোর ওই জায়গাটি খালি করা দরকার বিমানবন্দরে কর্তৃপক্ষের আর সে কারণেই কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিলাম আয়োজন করা হবে পড়ে থাকা এই বিমানগুলোর । এবং কাঙ্ক্ষিত দাম না পেলে কেজি দরে বিক্রি করে দেয়া হবে প্লেনগুলো।এই মূহুর্তে যেসব বিমান পড়ে আছে তার মধ্যে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের আটটি, রিজেন্ট এয়ারওয়েজের দুইটি, জিএমজি এয়ারলাইন্স ও এভিয়েনা এয়ারলাইন্সের একটি করে প্লেন পড়ে আছে।

এই ১২টি প্লেনের পার্কিং চার্জ ও সারচার্জ বাবদ প্রায় ৮০০ কোটি টাকার মতো বকেয়া রয়েছে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এর কাছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ বকেয়া জিএমজি এয়ারলাইন্সের কাছে, এই প্রতিষ্ঠানের কাছে ৩৬০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের।২০১২ সালে জিএমজি এয়ারলাইন্স তাদের আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট স্থগিত করে। এরপর আর কখনো ওড়েনি এই সংস্থার বিমান।

রিজেন্ট এয়ারওয়েজের কাছ থেকে বকেয়ার পরিমাণ ২০০ কোটি টাকা।২০২০ সালের মার্চে বন্ধ হয়ে যায় রিজেন্ট, কিন্তু তার আগেই বেশ কয়েকটি রুটে বিমান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল সংস্থাটি।এর বাইরে পার্কিং চার্জ ও সারচার্জ বাবদ কর্তৃপক্ষের কাছে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের বকেয়া ১৯০ কোটি টাকা।দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত একমাত্র বিমান কোম্পানি ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ বন্ধ রয়েছে ২০১৬ সাল থেকে।

এখন এই বকেয়া টাকা আদায়ের জন্যে কর্তৃপক্ষ বিমান নিলামে তুলছে।শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এসএম তৌহিদুল আহসান বলেছেন, ইতোমধ্যে নিলামের প্রক্রিয়া নির্ধারণে কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং নিলামের কর্মপদ্ধতি ও সুপারিশমালাও চূড়ান্ত হয়েছে। খুব শীগ্রই পরবর্তী ধাপগুলো সম্পন্ন করা হবে।

Saturday, 10 July 2021

বাংলাদেশি সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন আর্জেন্টিনা . . .

 আগামীকাল ভোরে শুরু হচ্ছে এবারের কোপা আমেরিকার ফাইনাল। দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের সবচেয়ে বড় ফুটবল টুর্নামেন্টের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দল আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল। এ নিয়ে সারা বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনার শেষ নেই। বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তো রীতিমতো মারামারি হয়েছে, এবং কয়েকজন সেই মারামারিতে আহত হয়ে হাসপাতালে পর্যন্ত চিকিৎসা নিতে হয়েছে। এবং বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১৫ হাজার মাইল দূরের দেশ আর্জেন্টিনার মিডিয়ায় এই খবর প্রকাশিতও হয়েছে। ফুটবল ঘিরে বাংলাদেশের জনগণের এই যে ভালোবাসা এবং এই উন্মাদনায় মুগ্ধ আর্জেন্টিনার সরকার ও জনগণ।


তাই আর্জেন্টিনার দূতাবাসের পক্ষ থেকে বাংলাদেশি সমর্থকদের ধন্যবাদ দেওয়া হয়েছে। যেহেতু আর্জেন্টিনার দূতাবাস বাংলাদেশে নেই , তাই ভারতের দিল্লির আর্জেন্টাইন দূতাবাস থেকে একটি প্রেসনোট এসেছে দেশের এক গণমাধ্যমে হাতে যে প্রেসনোটে দূতাবাসের কর্মকর্তারা ফাইনালে আর্জেন্টিনা দলের জন্য বাংলাদেশি সমর্থকদের আকুণ্ঠ সমর্থন চেয়েছেন।

প্রেসনোটে আরো বলা হয়েছে, ‘অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে বাংলাদেশের নাগরিকদের জানাচ্ছি যে, আর্জেন্টিনা কোপা আমেরিকার ফাইনালে উঠেছে। আমরা জানি, বাংলাদেশে অসংখ্য আর্জেন্টাইন সমর্থক আছেন যারা মেসি ও নেইমারের  লড়াই দেখার জন্য মুখিয়ে আছেন ।’‘আর্জেন্টাইন দূতাবাসের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের আর্জেন্টাইন সমর্থকদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি এবং অনুগ্রহ করে উপভোগ করবেন দুর্দান্ত এই ফাইনাল খেলা। আমরা ফুটবল ভালোবাসি। এর উত্তেজনা ও কৌশলের চূড়ান্ত বিকাশে বিশ্বাসী। সারা বিশ্ববাসী এখন সুপার ক্ল্যাসিকোর ফাইনাল ম্যাচ দেখতে মুখিয়ে আছে।’


বলে রাখা ভালো , বাংলাদেশি সমর্থকদের আর্জেন্টিনার প্রতি যে ভালোবাসা এবং অকুণ্ঠ সমর্থন সেটি বিশ্বমিডিয়ায় এমনকি আর্জেন্টিনার জাতীয় মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যাপকভাবে সাড়া পড়ে ছিল বিশ্বকাপ এবং বিভিন্ন সময়ে আর্জেন্টিনার খেলার আগমুহূর্তে।

চুক্তিভিত্তিক বিয়ের নামে লিভ-ইন সম্পর্কে জড়াচ্ছে সৌদিরা . . .

 


চুক্তিভিত্তিক বিয়ের নামে লিভ-ইন সম্পর্কে জড়াচ্ছে সৌদিরা।
সৌদি সমাজে কাবিন বা অন্য কোনো ধরনের খরচ ছাড়া বিয়ের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে । এ ধরনের বিয়েকে বলা হয় মিস-ইয়ার । যাদের বিয়ে করার সামর্থ্য নেই তাদের জন্য এমন বিয়ে এক ধরনের আশীর্বাদ। যদিও কোন কোন ইসলামিক চিন্তাবিদ এ ধরনের বিয়ের কড়া সমালোচনা করে আসছেন।

মিস ইয়ার এর অর্থ হচ্ছে অস্থায়ী বিয়ের ব্যবস্থা । সুন্নি শরিয়া আইন অনুযায়ী এ বিয়ের বৈধতা ও আছে। এ আইনের মাধ্যমে একজন পুরুষ তার বিয়ে করা বউ এর কোন ধরনের ভরণপোষণ বা অন্য কোনো দায়িত্ব পালন করেন না। তবে তারা উভয়ের সম্মতিক্রমে চাইলে একসাথে থাকতে পারবেন এবং শারীরিক সম্পর্ক করতে পারবেন। দুই পক্ষের এমন বিয়েতে থাকে নগদ টাকার বিনিময়। নগদ টাকার মাধ্যমে তারা এই বিয়েটি করে থাকে এবং একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তাদের মধ্যে এগ্রিমেন্ট হয়ে থাকে।

 তবে এগ্রিমেন্ট এর মাধ্যমে তারা চাইলে এ বিয়ের সময়ের মধ্যেই আবার তারা বিয়ে করতে পারবেন। তবে তালাক দিতে ও কোন ধরনের বাধা থাকে না। তবে লোকলজ্জার ভয়ে এমন বিয়ের কথা তারা নিজেদের মধ্যেই গোপন রাখে। সম্প্রতি দেখা গেছে মুসলিম কয়েকটি দেশে এ ধরনের শর্তহীন বিয়ের পরিমাণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

মিস ইয়ার আসলে একাকী জীবনের এবং বিবাহহীন জীবনের একটা মিশ্রন বলা যেতে পারে । এটি পরকীয়া বা বহুবিবাহের যারা আগ্রহী তাদের জন্য খুবই উপযোগী। তবে বিশ্লেষকদের মতে এ ধরনের বিবাহের মাধ্যমে দিনদিন নারী নির্যাতন এর পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। তাছাড়া অবিবাহিতরা তাদের অবৈধ সম্পর্কের সুযোগ নিতে পারে , আর ইসলাম বিয়ের বাইরে যে কোনো শারীরিক সম্পর্ককে যেহেতু সমর্থন করে না সে ক্ষেত্রে এই ধরনের বিয়ে কতটা যৌক্তিক সেটার প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যায়। 

বিশ্লেষকদের মতে এ ধরনের বিয়ে শুধুমাত্র যে সৌদির স্থানীয়দের মধ্যে লক্ষ্য করা যাচ্ছে তা নয় সেখানে অবস্থানকারী বিভিন্ন প্রবাসীদের মধ্যেও এ ধরনের বিয়ের পরিমাণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ডেটিং অ্যাপস ও ম্যাট্রিমনিয়াল ওয়েবসাইট গুলোর মাধ্যমে তারা তাদের মধ্যে সঙ্গী খুঁজছেন এবং তারা একত্রিত হয় আর সম্মতিক্রমে তারা তাদের মধ্যে বিয়ে করে ফেলেন। এ বিয়েতে যেহেতু নেই কোন দেনা-পাওনার হিসাব কিংবা কোন ধরনের দায় বাধ্যকতা সুতরাং এ ধরনের বিয়ের বেশিদিন টিকে না বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এমন বিয়ে মাত্র দেড় থেকে দুই মাস স্থায়ী হয়।


সৌদির এক স্থানীয় মতে, তিনি বলেছেন , আমার দেখা অনেকেই আছেন যারা এধরনের বিয়ে করেছেন এবং তারা একাধিকবার বিয়ে করেছেন একাধিক জনের সাথে এবং তারা তালাক ও দিয়েছেন, শুধু সমাজের পুরুষরা না সমাজের মহিলাদের মধ্যেও এমন বিয়ের পরিমাণ বা এমন বিয়ের প্রতি ইচ্ছা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, আগে এ ধরনের ঘটনা তেমন একটা দেখা যেত না কিন্তু ইদানিং এর পরিমাণ অনেক বেশি বেড়ে গেছে। যারা এধরনের বিয়ে করে তারা আসলে সমাজে মান-সম্মানের ভয়ে তাদের এইসব বিয়ে প্রকাশ করতে চায় না।


পরিচয় দিতে অনিচ্ছুক আরেকজন বলেন: আমি নিজেও এমন দুইটা বিয়ে করেছিলাম এবং ওইসব বিয়ের খবর আমি আমার পরিবার জনকেও জানইনি, এবং আমার প্রথম যেটা বিয়ে হয়েছিল সে ক্ষেত্রে কেবল এক মাসের মতো আমরা একসাথে সহবাস করছিলাম এবং এরপরে তালাক দিয়ে দেই এবং দ্বিতীয় বিয়ের ক্ষেত্রেও আমরা এক মাসের মত ছিলাম।

Monday, 5 July 2021

ভারতকে হারিয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম লেখাতে যাচ্ছে বাংলাদেশী গরু রানী ....

 



“ভারতকে হারিয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম লেখাতে যাচ্ছে বাংলাদেশী গরু রানী “কি আশ্চর্য হচ্ছেন হেডলাইন দেখে এটাই বাস্তব !

আমাদের আশেপাশে কত কিছুই না আছে এগুলা দেখে আমরা আশ্চর্য না হয়ে পারি না, যেগুলো দেখলে আসলেই আমাদেরকে সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি সম্পর্কে ভাবতে হয় বিশ্বাস করতে হয়।

এমনই একটি আশ্চর্য নিয়ে আপনাদেরকে এখন বলছি, শুনলে অবশ্যই আপনারা আশ্চর্য না হয়ে পারবেন না, বিশ্বাস করতে পারবেন না! তবে এটাই বাস্তবতা এবং সত্যি

সম্প্রতি বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরুর সন্ধান পাওয়া গেছে বাংলাদেশ। হ্যাঁ আমাদের বাংলাদেশেই রয়েছে বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে ছোট আকৃতির গরু, যার নাম রানী

সম্প্রতি বাংলাদেশের সাভারে একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান তাদের খামারে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট আকৃতির গরুটির দেখভাল করছেন প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের  ভাষ্যমতে তারা গরুটি পঞ্চগড়ের কোন এক প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে সংগ্রহ করেছেন তারা জানায় গরুটি যখন তারা সংগ্রহ করে তখন গরুটি ছিল অনেক রুগ্ন   দুর্বল । তবে তারা গরুটিকে যথাযথ চিকিত্সা ও সেবা দিয়ে এখন সুস্থ করেছেন আর গরুটি এখন সম্পূর্ণ সুস্থ সবল রয়েছে বলে তারা জানিয়েছেন ।

যৌনতার চেয়ে বেশি পছন্দ 'পিজ্জা '

গরুটির বয়স এখন মাত্র বছর এবং এর ওজন ২৩ কেজি , সবচেয়ে আশ্চর্যজনক যে বিষয়টি সেটি হচ্ছে গরুটির উচ্চতা মাত্র ২২ ইঞ্চি অর্থাৎ মাত্র ১ ফিট ১০ ইঞ্চি ।

গরুটির মালিকানা প্রতিষ্ঠান জানিয়েছেন এই মুহূর্তে এটি পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট আকারের গরু এবং ইতিমধ্যে তারা গরুটিকে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম লেখার জন্য গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন এবং তারা আশা করছেন খুব শীঘ্রই তারা এই স্বীকৃতিটা পেয়ে যাবেন

আর বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরুর যে রেকর্ডটি রয়েছে সেটি রয়েছে ভারতে কেরালায় অবস্থিত একটি গরুর কাছে যে গরুটির ওজন ৪০ কেজি এবং উচ্চতা ২৪ ইঞ্চি

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট গরু রানী কে নিয়ে যে তথ্যটি রয়েছে সেটি হচ্ছে আকারে ছোট হলেও বর্তমান বাজার মূল্য উঠেছে নাকি লক্ষ টাকা

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন গরুটি খুবই শান্ত প্রকৃতির এবং খুব সুন্দর করে প্রাকৃতিকভাবেই সে থাকতে পছন্দ করে তাছাড়া তারা আশা করে যেহেতু রানীকে তারা একটু আদর হবে গুরুত্ব দিয়ে সেবা করে এবং চিকিৎসা দেয়া হয় সেজন্য কিছু প্রতিকূলতার মর্ধেও সেটি সব সময় সুস্থ থাকবে বলে আশা করে