Thursday, 28 March 2019

রাজধানী ঢাকার বনানীতে ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা....


বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার বনানীতে বহুতল একটাও আরে ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে |এখন পর্যন্ত খবরে আগুনে পুড়ে নিহত সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে 22 আহত সংখ্যা 70 জন সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে |এখনো অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন আগুন এর পরিমাণ এতটাই ভয়াবহ ছিল যে ,ফায়ার সার্ভিসের একার পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছিল না |অনেক চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে |
চেষ্টায় প্রায় শত শত মানুষ তাদের জীবন ফিরে পেয়েছেন |উদ্ধারকাজে সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনী সহ অন্যান্য বাহিনী এবং সাধারন জনগন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা ভার্সিটি শিক্ষার্থীরা সকলেই এগিয়ে আসেন |সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনীর উদ্ধারের ব্যাপক তৎপরতায় দুটি হেলিকপ্টার দিয়ে ভবনের ছাদে আটকে পড়া মানুষদের নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করেন |ভবন থেকে দেড় শতাধিক লোক উদ্ধার করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে|
সশস্ত্র বাহিনী অত্যাধুনিক ড্রোন দিয়ে পুরো ভবনসহ আশেপাশের সকল এলাকা মনিটরিং করছিল |বিশেষ করে ভবনের ভেতরে কোন লোক আটকে ছিল কিনা তা দেখা হয়েছিল |এবার এই প্রথম যে কোন অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে তিন বাহিনীকে একসঙ্গে কাজ করতে দেখা গেছে আগুনের ভয়াবহতা এতটাই মারাত্মক ছিল যে এর তাতে আশে পাশের ভবনের কাজ পেতে ভেঙ্গে পড়েছে| যে ঘটনাটি আছে ঘটেছিল এটি ছিল ঢাকার বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ এর 17 নম্বর 32 নম্বর এফ আর টাওয়ার এর অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয় প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় জানা গেছে, প্রথমে ভবনটির ছয় সাত তলা থেকে হালকা হালকা ধোঁয়া বের হতে দেখা যাচ্ছিল এবং সময় বাড়ার সাথে সাথে এর পরিমাণ ছিল এর মধ্যে ভিতর থেকে মানুষের চিৎকার চেঁচামেচির আওয়াজ শোনা যাচ্ছিল মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যবধানে আগুন আগুন বলে চিৎকার করতে তাড়াহুড়া শুরু করে অনেক দ্রুত গতিতে নিচে নামতে চায় জানালা দিয়ে এতটাই দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়েছিল যে মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই 6/7 ছড়িয়ে পড়ে যারা জানালা দিয়ে বের হয়ে তার দিয়ে ঝুলে নিচে নামার চেষ্টা করেছিল তাদের মধ্যে প্রায় তিনজন চারজন এমনভাবে হাত ফসকে পড়ে গেছিল যে এদের মধ্যে অনেকেই মারা গেছেন|
আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দেরি হচ্ছিল কারণ ,য়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা বলেছেন ,আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রচুর পরিমাণে পানির প্রয়োজন ছিল কিন্তু সেই পরিমাণ পানি ঘটনাস্থলে এর আশেপাশে ছিল না |আর ভবনের ভেতরে সিনথেটিক ফাইবার দিয়ে ডেকোরেশন করা আগুন খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল এবং এক ভয়াবহ আকার ধারণ করে | যার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় ভিড় ছিল ফলে উদ্ধারকর্মীদের উদ্ধারকাজ ঘটেছিল ,তাছাড়া এম্বুলেন্স কাছে আসতে পারতে ছিল না তারপরও সারি সারি এম্বুলেন্স দেখা যায় ঘটনার পরে প্রায় 40-50 টি এম্বুলেন্স ছিল এবং যাদেরকে উদ্ধার করা হচ্ছে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল |এখন পর্যন্ত যারা নিহত নিহত হয়েছেন তাদের পরিচয় যাদের জানা গেছে তারা হচ্ছে বিকেল নাগাদ আগুনে পারভেজ সাজ্জাদ, মামুন, আমিনা ,ইয়াসমিন, আব্দুল্লাহ আল-ফারূক, মনির মাকসুদ নিহতের খবর পাওয়া যায়| এখনো পর্যন্ত অভিযান চলতেছে এদিকে আহত এবং নিহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল সহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে| প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন এবং তিনি ততটুকু পারছেন উদ্ধারকর্মীদের সেখান থেকে নিয়েছেন ,তিনি আগুন নিয়ন্ত্রণ হতাহতদের পাশে দাঁড়াতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন|

No comments:

Post a Comment